ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬০৬

কেন অমর হয়ে থাকবেন এন্ড্রু কিশোর? 

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:১৮ ১৪ জুলাই ২০২০  

করুণ সমাপ্তি ঘটেছে বাংলা গানের এক বিশাল চ্যাপ্টারের। সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে গেছেন ঢাকাইয়া সিনেমার অসংখ্য কালজয়ী গানের গায়ক এন্ড্রু কিশোর। মরণব্যধি ক্যান্সারের ‘লাস্ট স্টেজের’ সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে পারেননি তিনি। 
স্বভাবতই ‘হায় রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘আমার সারাদেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘ডাক দিয়েছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’— এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গান অমন দরাজ গলায় আর কোনো স্টেজে তাকে গাইতে দেখা যাবে না। দীর্ঘ ১০ মাস মারণ রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে গেল ৬ জুলাই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
সবাইকে চলে যেতে হবে। কেউ চিরদিন বেঁচে থাকবেন না। জন্মিলে মরিতে হবে এ তো নিয়তি। কিন্তু কিছু মানুষের মৃত্যু ভীষণ পীড়াদায়ক, যা বলে বা লিখে বর্ণনা করা যাবে না। শুধু অন্তর দিয়ে সেই যাতনা অনুভব করতে হবে।
১৫ জুলাই (বুধবার) বাংলা ছায়াছবির গানের মুকুটহীন সম্রাটকে শেষ বিদায় জানানো হবে। তার চিরবিদায়ের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন। রাজশাহী কালেক্টরেট মাঠের পাশে খ্রিস্টানদের কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। সেখানে বাবা-মায়ের কবরের পাশেই চিরনিদ্রা যাবেন দেশের প্লেব্যাক সম্রাট।
আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী এ কণ্ঠশিল্পীর মৃত্যুতে শোকাবহ বিরাজ করছে সংগীতসহ শোবিজ জগতের প্রতিটি অঙ্গনে। কাঁদছেন প্রিয়জনেরা, করোনা কাঁটা মাড়িয়ে তাকে শেষ নজর দেখতে কিংবা শ্রদ্ধা জানাতে পারছেন না তারা। তবে ইতোমধ্যে অবিসংবাদিত কণ্ঠশ্রমিককে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মৃতিচারণ করেছেন অনেকে।
লাইফটিভি টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য তাদের অমিয় বাণী তুলে ধরা হলো। সেই সঙ্গে এন্ড্রু কেন সঙ্গীত ভুবনে অমর থাকবেন সেই প্রয়াস চালানো হলো-
এন্ড্রুর চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে। আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ ছবিতে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানে কণ্ঠ দেন তিনি। শিষ্যের মৃতুতে ব্যাথিত দেশের প্রথিতযশা সুরকার। শোক জানিয়ে খান বলেন, ১৯৭৭ সাল। ‘মেইল ট্রেন’ ছবিতে এন্ড্রু প্রথম গান গেয়েছিল। আমার সুর করা গান। এটি নিয়ে অনেকে আমার কাছে অনেক কিছু শুনতে চান। অনেক পুরনো কথা। ঠিক মনেও পড়ে না এখন। তার চেয়ে বড় কথা, এন্ড্রুর সঙ্গে তো আমার স্মৃতি অসংখ্য। অভাব নাই। তাই প্রথম দিককার গানের কথাটা সেভাবে মাথায় আসে না। অনেক অনেক গুণ ছিল ওর। গানের প্রতি কী যে নিষ্ঠা, সততা- তা বলে বোঝানোর নয়। মানুষ হিসেবেও সে অন্যরকম ছিল। কী যে ভোজনরসিক! সেটার চেয়ে বড় কথা, ও ছিল ভালো মানুষ। সে যখন অসুস্থ হলো, যাওয়ার আগে আমার কাছে বিদায় নিয়েছিল। এমনকি যখন চিকিৎসা চলছিল, এর মধ্যেও সে ফোনে আমার সঙ্গে কথা বলত। এরপর বিষন্ন মন নিয়ে দেশে ফিরল। রাজশাহী যাওয়ার পর আমাকে ফোন দিয়েছিল। সব বলল। তার কষ্ট আমি আর নিতে পারছিলাম না। কয়েক দিন আগে ফোনে বিদায় নেয়ার মতো করে বলল, দোয়া কইরেন, যেন শান্তিমতো যেতে পারি। এটাই ছিল আমার সঙ্গে তার শেষ কথা।
বাংলার কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। এন্ড্রুর সঙ্গে গেয়েছেন অজস্র গান। স্বভাবতই মেনে নিতে পারেননি সহশিল্পীর এমন প্রয়াণ। তিনি লেখেন, এন্ড্রু আর নেই- খবরটা শুনতে হবে তা ভাবিনি। যখন সিঙ্গাপুরে গেলেন চিকিৎসার জন্য, ভেবেছিলাম ক্যান্সার জয় করে ফিরে আসবেন আমাদের মাঝে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতাম তাকে ফিরিয়া দেয়ার জন্য।েউনি ফিরলেন না। তার এ চলে যাওয়ায় আমার মনে কী যে শূন্যতা তৈরি হলো তা বলে বোঝাতে পারছি না। এখনো ভাবছি, মেধাবী মানুষকে এত তাড়াতাড়ি কেন চলে যেতে হয়। আর ভাবতে পারছি না। গলা কেঁপে আসছে। এখন এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে আছি, চাইলেই তো ছুটে যেতে পারছি না। গত সপ্তাহে দীর্ঘ সময় টেলিফোনে কথা বলেছি। উনিই সব বলে গেছেন, আমি শুধু কাতর হয়েছি। এমনও অনেক স্মৃতি তুলে এনেছেন, যেটা নিজেও ভুলে গেছি। এখন দোয়া ছাড়া আর কিছু করার নাই।
এন্ড্রুর একেবারে আত্মার আত্মীয় ছিলেন হানিফ সংকেত। দুজন দুজনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এন্ড্রুর বিয়ে থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হানিফ। এমন একজন বন্ধুকে হারিয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন তার শোকের কথা। তিনি লেখেন, এন্ড্রু আর নেই, প্রিয় বন্ধুর মৃত্যু সংবাদটি নিজের হাতে এত তাড়াতাড়ি লিখতে হবে কখনো কল্পনাও করিনি। এ মুহূর্তে কানে বাজছে রাজশাহী থেকে বলা কিশোরের শেষ কথাগুলো, দোয়া করিস বন্ধু, কষ্টটা যেন কম হয়, আর হয়তো কথা বলতে পারবো না। এর পরই খুব দ্রুত শরীর খারাপ হতে থাকে কিশোরের। আমারও যোগাযোগ বেড়ে যায় রাজশাহীতে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় এন্ড্রু-বাংলা গানের ঐশ্বর্য, যার খ্যাতির চাইতে কণ্ঠের দ্যুতিই ছিল বেশি। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনের অনেক বড় ক্ষতি হলো।
এন্ড্রু কিশোরের আত্মার শান্তি কামনা করে হানিফ সংকেত লিখেছেন, অনেক কষ্ট পেয়েছি বন্ধু, এত তাড়াতাড়ি চলে যাবি ভাবিনি। তোর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
দীঘ ৯ মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১১ জুন রাতে একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরে আসেন এন্ড্রু। এরপর তিনি তার ঢাকার বাসায় কিছুদিন অবস্থান করেই চলে যান গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে। সেখানে কোর্ট এলাকায় বোনের ক্লিনিকেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্লেব্যাক সম্রাট। তার মৃত্যুর সময় দুই ছেলে-মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন। করোনার কারণে তাদের দেশে ফিরতে বিলম্ব হয়েছে। অবশেষে ফিরেছেন তারা। এন্ড্রুর চিরবিদায়ের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন।
এন্ড্রু প্রায় ১৫ হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এ নজির আর কারো নেই। তার পুরো নাম এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ আর মঞ্চ নাম এন্ড্রু কিশোর। এ নামেই অধিক পরিচিত তিনি। ৪ নভেম্বর ১৯৫৫ সালে রাজশাহীর মহিষবাথানে জন্মগ্রহণ করেন প্রথিতযশা সঙ্গীত তারকা।
এন্ড্রু বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। যেজন্য তিনি 'প্লেব্যাক সম্রাট' নামে পরিচিত। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে "জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প", "হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস", "ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে", "আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি", "আমার বুকের মধ্যে খানে", "আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন", "ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা", "সবাই তো ভালোবাসা চায়" প্রভৃতি।
কিশোর মাত্র ৬ বছর বয়স থেকে সঙ্গীতের তালিম নেয়া শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি রাজশাহী বেতারে নজরুল, রবীন্দ্র, লোকসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান শাখায় তালিকাভুক্ত হন। চলচ্চিত্রে তার প্রথম গান মেইল ট্রেন (১৯৭৭) চলচ্চিত্রের "অচিনপুরের রাজকুমারী নেই"। 
বড় ভাল লোক ছিল (১৯৮২) চলচ্চিত্রের "হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এন্ড্রু। এরপর তিনি সারেন্ডার (১৯৮৭), ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯), পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১), কবুল (১৯৯৬), আজ গায়ে হলুদ (২০০০), সাজঘর (২০০৭) ও কি যাদু করিলা (২০০৮) চলচ্চিত্রের গানের জন্য আরও সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[৭] এছাড়া পাঁচবার বাচসাস পুরস্কার ও দুইবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন অবিসংবাদিত এ কণ্ঠশিল্পী।
এন্ড্রু ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ এবং মাতা মিনু বাড়ৈ রাজশাহীর বুলনপুর মিশন গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। মায়ের কাছেই তার পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয়। শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে সেখানেই। তার মাতা ছিলেন সংগীত অনুরাগী। উনার প্রিয় শিল্পী ছিলেন কিশোর কুমার। প্রিয় শিল্পীর নামানুসারে সন্তানের নাম রাখেন ‘কিশোর’। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি সংগীতাঙ্গনেই পা রাখেন।
এন্ড্রু আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সঙ্গীত পাঠ গ্রহণ শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কিশোর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধক গান শ্রেণিতে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। কিশোর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে পড়াশোনা করেন।
এন্ড্রুর চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের "অচিনপুরের রাজকুমারী নেই" গানের মধ্য দিয়ে। তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী চলচ্চিত্রের "ধুম ধাড়াক্কা"। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতীজ্ঞা  চলচ্চিত্রের "এক চোর যায় চলে" গানে প্রথম দর্শক তার গান শুনে এবং গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি অন্যান্য প্লেব্যাক গান রেকর্ড করেন যেমন 'ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে', 'ভালবেসে গেলাম শুধু' এর মতো জনপ্রিয় সব গান।
কিশোর চলচ্চিত্রের গানে প্রথম সম্মাননা লাভ করেন বড় ভাল লোক ছিল (১৯৮২) চলচ্চিত্রের জন্য। মহিউদ্দিন পরিচালিত এ চলচ্চিত্রে সৈয়দ শামসুল হকের গীত ও আলম খানের সুরে "হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস" গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। এ গানের জন্য তিনি প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। 
১৯৮৪ সালে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের গীত ও সুরে নয়নের আলো  চলচ্চিত্রের তিনটি গানে কণ্ঠ দেন কিশোর। সেগুলো হল "আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি", "আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন" ও "আমার বুকের মধ্য খানে"। এটি বুলবুলের পূর্ণাঙ্গ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে প্রথম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের নির্মাণব্যয় কম থাকার কারণে তিনি সৈয়দ আবদুল হাদী, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিনদের মতো বড় ও ব্যস্ত শিল্পীদের নিতে পারছিলেন না। ফলে পুরুষ কণ্ঠের জন্য এন্ড্রু এবং নারী কণ্ঠের জন্য সামিনা চৌধুরীকে নির্বাচন করেন। তথাপি অভিনেতা জাফর ইকবালের ঠোঁটে তার তিনটি গানই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।
১৯৮৭ সালে কিশোর সারেন্ডার চলচ্চিত্রে আলম কানের সুরে তিনটি গানে কণ্ঠ দেন। সেগুলো হলো "সবাই তো ভালোবাসা চায়", "গুন ভাগ করে করে", ও "ঘড়ি চলে ঠিক ঠিক"। তন্মধ্যে প্রথমোক্ত গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এ গানের জন্য তিনি দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
এছাড়া কিশোর ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯), পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১), কবুল (১৯৯৬), আজ গায়ে হলুদ (২০০০), সাজঘর (২০০৭) ও কি যাদু করিলা (২০০৮) চলচ্চিত্রের গানের জন্য আরও সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
এছাড়া একজন ব্যবসায়ী এন্ড্রু। ১৯৮৭ সালে তিনি বরাবর আহমাদ ইউসুফ, আনোয়ার হোসেন বুলু, ডলি জহুর, দিদারুল আলম বাদল, শামসুল ইসলাম নান্টুর সঙ্গে টিভি নাটক, বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য প্রযোজনার জন্য একটি বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠান 'প্রবাহ' শিরোনামে উদ্বোধন করেন।
এন্ড্রু লিপিকা অ্যান্ড্রু ইতির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কন্যা মিনিম অ্যান্ড্রু সংজ্ঞা এবং পুত্র জয় অ্যান্ড্রু সপ্তক। তারা থাকেন অস্ট্রেলিয়ায় এবং উভয়ই প্রতিষ্ঠিত। পারিবারিক, সামাজিকভাবে তার কেউ প্রতিষ্ঠিত হতে পারেননি। কেউ বাংলা সঙ্গীতকে সেবা দিতেও পারেননি। উল্লেখ্য, দেশের জন্য বলিউডের ডাকেও সাড়া দেননি এন্ড্রু। দমের কারণে আলাদা কদর পান তিনি।

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর